শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
তবে দীর্ঘদিনের এই দাবির প্রেক্ষিতে এবার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের পাঠানো চিঠিতে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে ভাতা বাড়ানো জরুরি। এতে পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিক্ষা উপদেষ্টা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অতিরিক্ত ৭৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, বর্তমানে এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসে এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা পান। এটি বাড়িয়ে যথাক্রমে দুই হাজার ও এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎসবভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হলে মোট খরচ হবে প্রায় ৭৬৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে শিক্ষক নেতারা বলছেন, এবার তারা কোনো আশ্বাসে ঘরে ফিরবেন না। সরকারি চাকরিজীবীদের মতো একই নিয়মে ভাতা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি, শিক্ষক সমাবেশ ও সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন তারা। পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেও পরবর্তীতে একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৬ হাজার ৪৪৭টি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার কর্মচারী কর্মরত। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি—সরকারি চাকরিজীবীদের মতো বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও অন্যান্য ভাতা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাব্যবস্থার পূর্ণ জাতীয়করণ।